জিপি নিউজঃ বাংলাদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপরে নজরদারি বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন।
এজন্যে টেলিকম রেগুলেটরি সংস্থা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গতকাল নির্বাচন কমিশনে একটি বৈঠকও হয়েছে।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ভোট নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতেই কমিশনের এই নজরদারির উদ্যোগ।
কিন্তু বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে এ বিষয়ে কী ধরণের সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন ?
এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, “নির্বাচনের সময় কমিশনকে সহায়তা করা সবার দায়িত্ব। তারা বলেছেন প্রোপাগান্ডা, গুজব এসব বন্ধ করার বিষয়ে সুযোগ যদি থাকে।”
“বিটিআরসি বলেছে তাদের সক্ষমতার মধ্যে যেগুলো আছে সেগুলোর সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার হয় সেটা আসলে বিটিআরসি বন্ধ করতে সক্ষম নয়।
বিটিআরসি ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারে। ফেসবুকের অনেক গ্রাহক বাংলাদেশে থাকায় তারা কখনো কখনো বিটিআরসি যখন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের কথা বললে বিবেচনা করে বলে তিনি জানান।
“তবে তারা (ফেসবুক) কিন্তু বিবেচনায় নিতে বাধ্য নয়। এছাড়া অন্য কোনো সহযোগিতা যেগুলো বিটিআরসি করতে সক্ষম সেটি নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে”।
মিস্টার হক বলেন, “বিটিআরসির লোকজন ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছে বিভিন্ন অপ্রচার দেখার জন্য এবং অনুরোধ যদি আসে সেটা বিটিআরসি চেষ্টা করবে।”
ফেসবুকে রাজনৈতিক আলোচনার কোনটা গুজব বা অপপ্রচার তা নির্ধারণ হবে কীভাবে?
জহুরুল হক বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারা সেটা করবেননা।
“আমরা নির্ধারণ করবো রাষ্ট্র-শৃঙ্খলা বিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী কিছু বললে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে পারি। আমরা সেটা বন্ধ করতে পারিনা। আমরা বন্ধ করিও না”।
নির্বাচনকে প্রভাবিত করা বা বানচালের কাজে ফেসবুককে অপব্যবহারের চেষ্টা বিভিন্ন দেশে হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশে কতটা ঝুঁকি আছে?
জবাবে বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারের ইতিহাস তো বেশি দিনের না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কোনো চুক্তি নাই যে আমরা বললেই তারা বন্ধ করে দেবে।”
“আমরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে বা একান্তই মিথ্যা কিছু হলে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন হলে ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারি। কোনো ব্যক্তির বিষয়ে বিটিআরসি কিছু করেনা”।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন কোনো সহায়তা চেয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না। তারা শুধু বলেছে যদি কোনো গুজব হয় বা রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কিছু হলে সেই অনুরোধ প্রেরণ করি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে।”
“ফেসবুক মানতে বাধ্য – তাও না। কিছু তারা করে আবার কিছু করেনা।”
জহুরুল হক বলেন, ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচার হলে, নির্বাচন কেন্দ্রিক হলে ভোট চাওয়া বা না চাওয়া-এসব বিষয়ে বিটিআরসি কিছু করেনা।
সুত্র- বিবিসি-