জিপি নিউজঃ আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১ টায় চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের জরুরী সভা সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মূল দাবি চাকুরী জাতীয়করণ । তিনি অবিলম্বে এই দাবী মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান ।
তিনি বলেন, এই দাবি পূরণে সরকারের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই। ছাত্র বেতন, সেশন চার্জ, প্রতিষ্ঠান সম্পদ থেকে গৃহীত অর্থ, রিজার্ভ ফান্ড ও সাধারণ তহবিলের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হলে বর্তমানে সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাৎসরিক যে ১০৪৭৯ কোটি ৬৯ লক্ষ ২২ হাজার ২ শত টাকা প্রদান করেন তাতেই চাকুরী জাতীয়করণ করা সম্ভব।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার চর দখলের ন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে চলেছেন। সরকারী দলের সংসদ সদস্য, তাদের আত্মীয়স্বজন ও ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষরা সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছেন না। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ শিক্ষার বেহাল অবস্থার জন্য সরকার দায়ী। শিক্ষামন্ত্রী ঘুষ নেয়াকে বৈধতার ঘোষণা দিয়ে অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ঘুষ নেয়ার অপরাধে কারাগারে আছেন। শিক্ষামন্ত্রীর এই পদে থাকার কোন যোগ্যতা নাই। নেতৃবৃন্দ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ চৌধুরী মুগীস উদ্দিন মাহমুদ, প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. জাকির হোসেন, প্রিন্সিপাল আব্দুর রহমান, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক আবু সাঈদ, অধ্যাপক আব্দুল মফিজ, মো. কামরুজ্জামান মিজান, মিরাজুল আলম, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, অধ্যাপক রকিব উদ্দিন, অধ্যাপক মোশারফ হোসেন লিটন, মাওলানা আব্দুল আলীম আকন্দ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, আজিজুল হক রাজা, অধ্যাপক ওসমান গনি, মিজানুর রহমান, আক্কাস আলী, অধ্যাপক এস.এম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক শাহ আলম, এস.আই পান্না, অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ খোকন, অধ্যাপক শাহ আলম টিপু, অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভা শেষে আগামী ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে চাকুরী জাতীয়করনের ঘোষণা না দিলে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সাংসদ, পেশাজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, ১৪/০২/১৮ সকাল ১১টায় জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ, ২৬/০২/১৮ সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় ভাবে জাতীয় সংসদের স্পীকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান, ৩রা মার্চ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি, ৮ মার্চ জেলা সদরে সকাল ১২টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রতীক অনশন, ৯ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ ও ১৯ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।
গিয়াস/ইউএ
Facebook Comments