জিপি নিউজঃ ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরের দিকে এসব ঘটনা ঘটে। রাজধানীর মিরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, নিহতরা দু’জনই ছিনতাইকারী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোরে মিরপুরের রূপনগর এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
রূপনগর থানার এসআই মোমিনুর রহমান জানান, ওই এলাকায় ছিনতাইকারী দল জড়ো হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে থেকে। বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা রূপনগর থানার ঢহল পুলিশের একটি দল ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। এসময় কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ চলে। এরপর অন্য ছিনতাইকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া পৌরসভা ও ভেড়ামারা উপজেলায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুটি লাশই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌর এলাকার মিলপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার জানান, মঙ্গলবার পাবনার ঈশ্বরদী থেকে সোবহান আলী নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন তার কাছে অস্ত্র আছে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সোবহান আলীকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার বারাদী কবরস্থান এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যান। ওই এলাকায় পৌঁছালে সোবহান আলীর সঙ্গীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করে তারা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে সোবহান আলী গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোবহান আলী (৩৮) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের নুরুদ্দীনের ছেলে। তবে তিনি দীর্ঘদিন নাটোরে ছিলেন। তার নামে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জুগিয়া এলাকায় একটি ডাকাতির মামলা ছিল ।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দশমাইল এলাকায় একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সময় ওই সড়কের টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।