জিপি নিউজঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের এক বছরের জামিন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
শনিবার বিশেষভাবে বেঞ্চ বসিয়ে বিচারপতি মো. মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন প্রত্যাহারের এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় আদালত আজ বেঞ্চ বসিয়ে রুহুল আমিনের জামিন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ২১ মার্চ বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান রুহুল আমিন।
এদিন কোন যুক্তিতে আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেছেন যে, মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) রুহুল আমিনের নাম নাই। তাছাড়া মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। এসব বিষয় তুলে ধরে জামিন চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসলে আসামির আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করেছেন। জামিন আবেদনে উল্লেখ আছে এনএক্স-১৭ নম্বর কোর্টের কথা। অর্থাৎ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য ফাইল হয়েছে। ফলে আবেদনটির অনুলিপি গেছে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে।
বিশ্বজিৎ রায় আরও বলেন, ‘যেদিন জামিন হয় সেদিন আসলে আমরা বুঝতেই পারিনি, কার জামিন হয়েছে।’ আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আশেক-ই-রসুল।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এর পর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
চরজব্বর থানায় ওই নারীর স্বামীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘরে ভাঙচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।