জিপি নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বিরাগের বশবর্তী হয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছা ও নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশী বাজারের বিশেষ আদালতে মামলার হাজিরা ও আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ২০০৫ সালে দুদক থেকে চাকরিচ্যুত হন। যে কারণে তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে আমাদের বিরুদ্ধে তাঁকে কাজে লাগানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়। এই কর্মকর্তা বিরাগের বশবর্তী হয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছা ও নির্দেশ অনুযায়ী আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করেন ও তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
আদালতেও আমার বিরুদ্ধে অসত্য সাক্ষ্য দেন। আমার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল জনসম্মুখে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ এই কর্মকর্তা আমার নামে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, হারুন অর রশীদের নিরপেক্ষ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার মতো নৈতিক কোনো মনোবল ছিল না। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে তাদের নির্দেশিত মতে আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন। এই কথা জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়া হারুণ অর রশীদের ১৯৭৯ সালের নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ বলে আদালতকে জানান।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের এই মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।